বাগদাদ কেন গুরুত্বপূর্ণ ছিল? আব্বাসীয় খিলাফত ৭৬২ খ্রিস্টাব্দে বাগদাদ শহরে তাদের রাজধানী স্থাপন করে। পরবর্তী পাঁচ শতাব্দীতে ইসলামিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে এবং বাগদাদ শিক্ষা ও সহনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে … এই সময়টিকে ইসলামের স্বর্ণযুগ বলা হয়।
বাগদাদের বিশেষত্ব কী ছিল?
বাগদাদ সেই সময়ে ছিল বিশ্বের বৃহত্তম শহর, জনসংখ্যা প্রায় ১ মিলিয়ন। এটি একটি পুরোপুরি গোলাকার শহর ছিল, যার কেন্দ্রে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ভবন ছিল। দুটি নদীর মাঝখানে অবস্থিত, এটি বিশ্বের মহান বাণিজ্য পথের কেন্দ্রে ছিল এবং তাই খলিফা অত্যন্ত ধনী ছিলেন।
বিশ্ব ইতিহাসে বাগদাদ কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
বাগদাদ ছিল 9ম এবং 10ম শতাব্দীর "ইসলামের স্বর্ণযুগে" আরব খিলাফতের কেন্দ্র ছিল, যা শুরুর দিকে বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম শহর হয়ে ওঠে। 10 শতক। … এটি আরব বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর (কায়রোর পরে) এবং পশ্চিম এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর (তেহরানের পরে)।
কেন বাগদাদ অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল?
মধ্যযুগে, বাগদাদ বাণিজ্য রুটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চৌরাস্তা হিসেবে কাজ করেছিল (স্থল, নদী এবং সমুদ্রপথে)। এটি এই অঞ্চলের মধ্যে এবং বিশেষ করে প্রতিবেশী ইসলামিক রাষ্ট্রগুলির সাথে বাণিজ্যের একটি প্রাণবন্ত কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছিল৷
প্রাথমিক ইসলামী ইতিহাসে বাগদাদ কেন গুরুত্বপূর্ণ ছিল?
খলিফারা বাগদাদকে আব্বাসীয় খিলাফতের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলেন এবং প্রতিষ্ঠা করেন। বাগদাদ ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ছিল এবং এটি ছিল বাণিজ্য ও ধারণা বিনিময়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।